শাহ কামাল সবুজ : বিশ্বের সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য বাইনারি চিন্তার প্রক্রিয়া ত্যাগ করার প্রয়োজনের উপর গুরুত্বারোপ করে গত ২১জুন ২০২৫ বাংলাদেশের বাহাই সম্প্রদায়ের বহি-সম্পর্ক দপ্তর জাতীয় বাহাই কেন্দ্রে "অ-বৈষম্যমূলক দ্বন্দ্ব সমাধান" সম্পর্কিত একটি প্যানেল আলোচনার আয়োজন করে।


লিঙ্গ ভিত্তিক দ্বন্দ্ব সংঘাতের বিষয়ে বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট সামাজ কর্মী এবং কোরির সমন্বয়কারী মিসেস খুশী কবির। তিনি  লিঙ্গ ভিত্তিক দ্বন্দ্বগুলির সমাধানের জন্য ব্যাক্তি ও সামাজিক স্তর থেকে সচেতনতা বৃদ্ধিকে গুরুত্ব দেন। তিনি সকলকে সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে নিজ নিজ অবস্থান থেকে  কণ্ঠস্বর উত্থাপনের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর বক্তব্য রাখেন। 


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘাত অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ডঃ সাজাদ সিদ্দিকী কর্মক্ষেত্রে উত্থিত দ্বন্দ্বের বিষয়ে মনোনিবেশ করেন। তিনি বললেন যে আমাদের অবশ্যই বাইনারি চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে যা এক ব্যক্তিকে অন্যের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দেয়। তিনি বললেন যে, সমাজে দ্বন্দ্ব অনিবার্য হয়ে ওঠে তা সাধারণভাবে কোনও প্রতিষ্ঠান বা সমাজকে এগিয়ে নিতে দেওয়া উচিত নয়।


লেখক ও শিক্ষাবিদ মিসেস মোজগান বাহার, একটি পরিবারে দ্বন্দ্ব সমাধানের উপায় সম্পর্কে কথা বলেন, তা স্বামী এবং স্ত্রী, বাবা -মা এবং সন্তানের মধ্যে বা ভাইবোনদের মধ্যে হতে পারে। তিনি পরামর্শের মাধ্যমে দ্বন্দ্ব সমাধানের বাহাই 'উপায়টি উপস্থাপন করেন, যা এই নিয়মটি অনুসরণ করে যে আমরা সকলেই দ্বন্দ্ব সমাধানের চেষ্টা করছি তাই এতে কোনও জয়ী বা পরাজিত থাকতে পারে না।


বাহাই সম্প্রদায়ের বহি-সম্পর্ক বিষয়ক দফতরের মাহমুদুল হক অন্যান্য প্যানেল সদস্যদের মতামত প্রতিধ্বনিত করেন যে, শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ে তুলতে আমরা বনাম তারা দৃষ্টি কোণ থেকে সমস্ত কিছুকে দেখার আমাদের বদ্ধ মূল ধারণা থেকে আমাদের অবশ্যই বেরিয়ে আসতে হবে। তিনি পরিসংখ্যান ও ঐতিহাসিক তথ্যের মাধ্যমে দেখালেন যে ধর্মীয় দ্বন্দ্বগুলিকে যত অসমাধানযোগ্য মনে করা  হয় আসলে তা ততটা জটিল নয়।


উক্ত আলোচনায় বিভিন্ন সরকারী এবং বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শিক্ষক এবং পেশাজীবী প্রায় ১০০ জন উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে শ্রোতারা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে প্রশ্ন উত্তর পর্বে অংশ গ্রহণ করে।